ঈদের জামায়াতের ওযু নিজ বাড়িতে পড়ে ঈদ্গাহে যেতে হবে এবং ব্যাক্তিগত টুপি ও জায়নামাজ ব্যবহার করতে হবে - Ever Fact

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Friday, May 22, 2020

ঈদের জামায়াতের ওযু নিজ বাড়িতে পড়ে ঈদ্গাহে যেতে হবে এবং ব্যাক্তিগত টুপি ও জায়নামাজ ব্যবহার করতে হবে



করোনার সংক্রমণের প্লেগের কারণে, এবার ঈদ-উল-ফিতরের জামাত ঈদগাহে বা খোলা জায়গায় অনুষ্ঠিত হবে না। উত্সাহী প্রশংসকদের জীবনের বিপদ সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করে ঈদের নামাজ খোলা জায়গার চেয়ে নিকটতম মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। যে ইভেন্টটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ, একটি সমাগমকে একই মসজিদে অর্কস্ট্রেট করা যায় ।

শুক্রবার (২২ মে) ঈদ উপলক্ষে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) এ জাতীয় ১৪ টি নির্দেশনা দিয়েছে।

ডিএমপির নির্দেশনাগুলো হলো—

১. ঈদের নামাজের জামাতের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে হবে।

২. ঈদের নামাজের জামাতের সময় মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।

৩. করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধ করতে মসজিদের প্রবেশদ্বারে সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে।

৪. মসজিদের ওজুখানা ব্যবহার না করে প্রত্যেককে নিজ বাসা থেকে ওজু করে মসজিদে আসতে হবে এবং ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।

৫. ঈদের নামাজের জামাতে আগত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে।

৬. ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দুরুত্ব ও স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ করে দাঁড়াতে হবে।

৭. এক কাতার অন্তর অন্তর কাতারবদ্ধ হতে হবে।

৮. করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে মসজিদে জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো থেকে বিরত থাকতে হবে।

৯. মসজিদে শৃঙ্খলার সাথে ঢোকা ও বের হওয়ার ক্ষেত্রে পৃথক পৃথক ব্যবস্থা রাখার জন্য মসজিদ কমিটিকে অনুরোধ করা হলো।

১০. করোনা পরিস্থিতিতে আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের বাসায় যাতায়াত করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

১১. ঈদের দিন ও পরবর্তী সময়ে বিনোদন কেন্দ্রে যাতায়াত না করে নিজ ঘরে অবস্থান করে পরিবারের সদস্যদের সাথে ঈদ উদযাপন করুন।

১২. ঈদ উদযাপনের লক্ষ্যে যারা ঢাকার বাহিরে যাবেন তারা তাদের বাসা অথবা ফ্ল্যাটের মেইন গেটে অটোলক ব্যবহার করুন এবং বাসাবাড়ী ত্যাগের পূর্বে রুমের দরজা-জানালা সঠিকভাবে তালাবদ্ধ করুন।

১৩. মালিক পক্ষ স্ব স্ব মার্কেট/শপিং মলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করুন এবং আপনার এলাকার থানা/ফাঁড়ির সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখুন।

১৪. খালি বাসায় মূল্যবান সামগ্রী না রেখে ঢাকায় অবস্থান করছেন এমন আত্মীয়-স্বজনদের বাসায় তা রেখে যান।

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad